চুনারুঘাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, পিতাপুত্র আটক
নুর উদ্দিন সুমন নুর উদ্দিন সুমন
হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে জমিজমার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে আমু চাবাগানে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুনের অভিযোগ উঠেছে । নিহতর নাম মো: বকুল মিয়া ( ৪০)। বকুল মিয়া দেওরগাছ ইউনিয়নের জুড়িয়া বড়বাড়ি মৃত আব্দুল হানিফের ছেলে।
বুধবার (৮ই জুলাই) দুপুরে আমু চাবাগানে সাঁওতালল্যান্ড এলাকায় বাঁশবাড়ি এলাকায় এঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ভাইদের মধ্য জমির ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে পুর্বের মামলা মোকাদ্দমা রয়েছে ঘটনার পুর্বে জমিজমার বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় ভাতিজা ফয়সলের সাথে।
এ সময় ফয়সলকে আটক করে মারপিট করে নিহত বকুল মিয়া। পু্ত্র ফয়সলকে আটকের খবর শুনে উল্লিখিত স্থানে গিয়ে ফজলু মিয়া উত্তেজিত হয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে বকুলের দুইপা কেটে দেয়। এসময় বকুলের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পিতাপুত্র পালিয়ে যায় এবং বকুলকে উদ্ধার করে চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান বকুলের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক এর নেতৃত্বে এসআই জাহাঙ্গীর কবিরসহ একদল পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগীতায় খুনের অভিযোগে পিতাপুত্র দুইজনকে আটক করেন এবং হত্যায় ব্যবহৃত দাঁড়ালো দা উদ্ধার করেন। আটকৃতরা হলেন, নিহতর আপন বড়ভাই ফজলু মিয়া(৫৫) ও ফজলু মিয়ার ছেলে ফয়সল মিয়া(১৮) ।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক বলেন, আমরা তাৎক্ষণিক দুইজনকে আটক এবং হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা দা উদ্ধার করেছি।
নিহতর স্ত্রী সুকেরা খাতুন জানান, ফজলু মিয়া পরপর দুইবার রক্তাক্ত জখম করে এমন কি ইতিপূর্বে ফজলুর আঘাতে আমরা স্বামী স্ত্রী ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি এখনও সুস্থ হইনি। ফজলুর নির্যাতনে একাধিক সালিশ বিচারও হয়েছে কোন বিচার হয়নি মামলা পর্যন্ত করেছি ফজলুর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা চলমান।
তিনি আরও বলেন অবশেষে কতিপয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। তিনি স্বামী হত্যার বিচার চান।